1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর ভোলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬টি হাতবোমা ও ৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক -১ চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অর্থনীতি ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত এমপিও নামক সোনার হরিন কি আদৌ মিলবে? ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অস্ত্রসহ কথিত এক ভূয়া সমন্বয়ক গ্রেফতার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত। ভোলায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জলঢাকায় প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ওস্মারক লিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি

দূণীতির দায়ে ৬ঘন্টা অবরুদ্ধ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা।

জসিনুর রহমান জলঢাকা উপজেলা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নাম জারির জন্য নেওয়া ঘুষের টাকাসহ গ্রহকের পাওনা টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ফেরত দিলেন জলঢাকার উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান। সোমবার বিকেলে জনতার তোপের মুখে পরে জমির খাজনা/ খারিজের জন্য প্রায় ৪৬ জনের কাছে নেওয়া ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে ফেরত দেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান অনেক মানুষের কাছ থেকে নাম খারিজের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা না দিলে তিনি অযথা হয়রানি করতেন, ঘুড়াতেন মাসের পর মাস।

বাজারের হোটেল ব্যবসাযী আব্দুল খালেক বলেন, জমির নাম খারিজ করতে গেলে ভূমি কর্মকর্তা এলাকার সাধারন মানুষেকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। আমার হোটেরে ১২ হাজার পাঁচশত টাকা বাকি রেখেছে। আজকে কালকে করে অনেকদিন হলো দেয়নি না বলে চলে যাচ্চিল তাই তাকে আটক করা হয়েছিলো।

ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান বলেন, জমি নাম খারিজের জন্য ভূমি কর্মকর্তা তার থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু কাজ করেনি। তাই তাকে আটক করে রাখা হয়েচিলো। টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাই ছেড়ে দিয়েছি।

এখানেই থেমে নেই তিনি। খাবার হোটেল,তেলের দোকান,ওষুধের দোকান এমনকি পানের দোকানেও হাজার হাজার টাকা বাকি খেয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দিনের পর দিন অতিক্রম করেছে ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর। পাওনা টাকা চাইলে তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন ও হুমকি-ধমকি দিতেন কিন্তু ভুক্তভোগীরা ভয়ে কিছু বলতেন না। কিন্তু চাকুরীর বদলীজনিত কারনে শেষ কর্মদিবসে এসে তাকে ছাড় দেননি এলাকাবাসি। ভুমি কর্মকর্তা অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঘটে বিপত্তি। পাওনাদারেরা এসে জড়ো হন অফিসের সামনে।এসময় তাকে আটকে রাখা হয়। টাকা না দিলে কেউ যেতে দেবেনা৷ বিকেলের ঘটনা রাত পর্যন্ত গড়ালেও সমাধান হচ্ছিলো না। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে এবং টাকা ফেরত দেওযার প্রতিশ্রতি দেয়। পরে ভূমি কর্মকর্তা তার বেতন একাউন্টের মাধ্যমে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও ফাকা জুটিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পান।

এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি নাই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট