আশুলিয়ার গাজীরচট স্কুল ও কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো: ইমন মিয়া (১৭) সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইমনের পিতা মো: আতাউর কাশিমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছেন গাজীপুরের শৈলডুবি গ্রামের কাশিমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ ছামাদ মাদবরের ছেলে মোঃ খাইরুল ইসলাম শান্ত (৩২)।
গত ৩০ এপ্রিল ইমনের সাথে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার উপযুক্ত শাস্তি ও ন্যায় বিচার দাবী নিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় আশুলিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র ইমন জানান, তিনি তার বন্ধুদের সাথে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে কাজ করছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত শান্ত তাকে হুমকি দেন
ঘটনার দিন, ইমন যখন তার বন্ধুদের সাথে বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হলে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে, সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় তারা কাশিমপুর থানাধীন শৈলডুবির চুল ফ্যাক্টরীর উত্তর পাশে একটি রাস্তায় পৌঁছায়। এ সময় আগে থেকেই উৎপেতে থাকা অভিযুক্ত শান্ত লেজার কাটার দিয়ে ইমনের বাম পায়ের টাকনুর জয়েন্টে কোপ দেয়, ফলে তার বাম পায়ের টাকনুর নিচের অংশ কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ইমনের বাবা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমার ছেলের জীবন যেন শুরুতেই শেষ হয়ে গেল। মাদক বিরোধী আন্দোলনের জন্য আমাদের এই মূল্য চোকাতে হলো।” তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে যখন আমি ওই ঘটনার বিচার কামনায় থানায় যেতে চাই, তখন অভিযুক্তরা আমাকে থানা পুলিশের কাছে না যেতে নিষেধ করে। তাদের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মেরে ফেলতে পারে বলে হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা যে কোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার ডিউটি অফিসাররের কাছে এই মামলার এন্ট্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি থানায় এসে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলেন। পরে থানার মুন্সি কনস্টেবল জাহিদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে, কনস্টেবল জাহিদ মুঠোফোনে কল রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব না হওয়ায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।