নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার ৭ নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক এর অপসারণ উপলক্ষে মানববন্ধন করেছেন নিয়ামতপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বি,এন,পি ও অঙ্গ সংগঠন এবং এলাকার জনগন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আমাদের এলাকার সুপরিচিত জনাব এ, কে, এম খলিলুর রহমান, প্রভাষক-বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন কলেজ। এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ ওয়ালিদ হাসান (শালবাড়ী)-তিনি আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত,জনাব মোঃ ইউনুস আলী সরকার (শ্রীমন্তপুর মধ্যপাড়া) জনাব মোঃ কামাল হোসেন (বালুকাপাড়া), জনাব মোঃ সিহাব উদ্দীন (দ্বারাজপুর),জনাব মোঃ মিজানুর রহমান (শালবাড়ী),জনাব মোঃ আলাউদ্দীন (রশিদ পাড়া)। মানববন্ধনে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন জনাব মোঃ হাসানুজ্জামান (বাবু),শিক্ষক-শ্রীমন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
বক্তারা বক্তব্যে বলেন,শ্রীমন্তপুর ইউ, পি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক অবৈধ ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী কিছু সন্ত্রাস বাহিনী দ্বারা। তিনি ৭ নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন এ যত খাস পুকুর,জলাচয় আছে সব তারই নামে টেন্ডার।এখন চেয়ারম্যান সাহেবের কোটি কোটি টাকা। বক্তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যান এক সময় সামান্য কাঠের ব্যবসা করতেন কিন্তু চেয়ারম্যান হবার পর হটাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।
চেয়ারম্যান কর্তৃক ভূমিহীন মানুষদের জন্য সরকারী সম্পতি(খাস বলে পরিচিত) ভূমিহীনদের বরাদ্দ দিতেন কিন্তু চেয়ারম্যান কি ভূমিহীন? তাহলে কেন সরকারী সম্পতিতে বাসা বাড়ী করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ভোট চোর, যারা জনগনের পবিত্র ভোট নামক সম্পতি হরন করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
তারপরও এক দিন অফিস করলে আট দিন অনুপস্থিত থাকেন। সংবাদকর্মী ইউনিয়ন অফিসে গেলে বেশীর ভাগ অনুপস্থিত চেয়ারম্যান কে অনুপস্থিত পায়। সচিব কে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কথা বললে সচিব সাহেব বলেন,আমার কোন তথ্য নায় এবং দেখা গেছে কোন মেম্বার সাহেব কে ও কোন দায়িত্ব দেননি। এ রকম অফিসে অনিয়ম করলে জনগন সমস্যায় পতিত হয়। জনগনকে হয়রানি করে দেশ ও জাতির কল্যান সম্ভব নয়। জনগন কে নিয়েই সরকারের প্রধান মন্ত্রী সহ সকল নেতা নির্বাচিত হন।তাহলে জনগনের সাথে এ রকম প্রহসন করা অযৌক্তিক। মানববন্ধনে বক্তারা বক্তব্যের শেষে বলেন,চেয়ারম্যানের দূর্নীতি কর্মকান্ড বিশ্লেষন করে চেয়ারম্যানের অপসারন,উদ্ধর্ধন কর্মকর্তার কাছে একান্তভাবে কামনা করছি।