1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর ভোলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬টি হাতবোমা ও ৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক -১ চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অর্থনীতি ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত এমপিও নামক সোনার হরিন কি আদৌ মিলবে? ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অস্ত্রসহ কথিত এক ভূয়া সমন্বয়ক গ্রেফতার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত। ভোলায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জলঢাকায় প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ওস্মারক লিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি

চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীকে যৌন হেনস্থা, প্রতিবাদ করায় ‘ছাত্রলীগ’ বলে বেধড়ক পিটুনি

ঢাকা বুলেটিন ডেক্স
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ছুটির দিনে তাদের সাথে শরিক হতে চেয়েছিলেন চট্টগ্রামের ইপিজেডে একটি কারখানায় কর্মরত সানজানা ইরা ফারহানা। সেই উদ্দেশ্যে ইপিজেড এলাকা থেকে বৃষ্টিতে ভিজে নিউমার্কেট এলাকায় চলে যান তিনি। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিবাদে কণ্ঠ মেলান, স্লোগান দেন। এরমধ্যেই ভিড়ের সুযোগে তাকে যৌন হয়রানি করে কয়েজন শিক্ষার্থী। প্রতিবাদ করার পর তাকে ‘ছাত্রলীগ’ আখ্যা দিয়ে এবং কুৎসিত ভাষায় গালাগাল করে একপর্যায়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পিটুনি দেয় তারা। মোবাইল ফোন চেক করার নামে সেটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনা আজ শুক্রবার ২রা আগস্টের। যৌন হয়রানি এবং ব্যাপক মারধরের শিকার সেই নারী নিজের ফেসবুকে লিখেছেন-

“আসসালামু আলাইকুম। শিক্ষার্থী ভাই বোনদের আহবানে প্রোগ্রামে গিয়ে আজকে নিজের ইজ্জতটা হারাতে হারাতে বেঁচে ফিরলাম। আমি কোনো রাজনীতি দল সাপোর্ট করিনা। ফেইসবুকে ছবি আর ভিডিও দেখলে চোখ দিয়ে পানি চলে আসে তাই আজকে বন্ধের দিনে ভাবলাম নিজে একটু স্বশরীরে গিয়ে ওদের পাশে দাঁড়াই।

আমার বাড়ি কক্সবাজার, ফ্রিপোর্টে থাকি, ওখানে জব করি। বৃষ্টি হচ্ছিল আর গাড়িও অনেক কম ছিলো তারপরেও দোয়া দরুদ পড়ে বের হলাম। বারিক বিল্ডিং হয়ে মার্কেটে গিয়ে পৌছালাম। অনেকক্ষণ ছিলাম ওখানে, গলা ফাটিয়ে স্লোগানও দিলাম সবার সাথে মিলিয়ে। ছাতা ছিলো তারপরেও বৃষ্টিতে কাপড় ভিজে গায়ের সাথে লেগে যাচ্ছিল আমি বারবার তা ঠিক করতেছিলাম। ভীড়ের ভেতরে হঠাৎ বুঝতে পারলাম আমার বুক ও বুকের নিচে কয়েকটা হাত ক্রমাগত উঠানামা করছে। এক মুহূর্তের জন্য আমার পুরো শরীর জমে পাথর হয়ে গিয়েছিলো। আমি পেছন ফিরে তাকাতে দেখলাম ৩-৪ জন ছেলে মাথায় লাল কাপড় বাঁধা, তারা একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করতেছে। যারা আজকে প্রোগ্রামে ছিলেন তারা হয়তো জানবেন কি পরিমাণ মানুষ ছিলো আজকে। আমি কি করবো বুজতে পারছিলাম না।ভাবলাম বাসায় চলে যাই এবার।

ভিড় ঠেলে সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করতেছিলাম। একটু সামনে আগানোর পরে দেখলাম ঐ ছেলেগুলো আমার চারপাশে ঘিরে ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে স্লোগান দিচ্ছে আর সমানভাবে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জোরে জোরে হাত দিচ্ছিলো যা আমি মুখ দিয়ে বলতে পারছিনা। আমি আমার শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বললাম এই ছেলেগুলো আমার সাথে বাজে আচরণ করতেছে। সাথে সাথে সবাই আমার দিকে তাকালো। এবার ছেলেগুলো বলে উঠলো এই মেয়ে ছাত্রলীগের দালাল এ এখানে আসছে আমাদের ভেতরে বিশৃঙ্খলা করার জন্য। এটা বলেই কিল ঘুষি দেওয়া শুরু করে দিল। আমি রাস্তায় পড়ে গেলাম। কয়েকজন আমাকে ধরে তুললো। একজন আমাকে খুব বিশ্রী ভাষায় গালি দিয়ে বললো তোর মোবাইল দে মোবাইল চেক করবো। আমি এতটাই ভয় পাচ্ছিলাম যে ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে এদের হাতে দিয়ে দিলাম।

ছাত্রলীগের… বলে একজন পেছন থেকে একটা লাথি দিলে আমি ছিটকে অনেক দূরে গিয়ে পড়ি। আমি খুব কান্না করছিলাম আর মনে মনে দোয়া পড়তেছিলাম। একজন বয়স্ক লোক হাতে জায়নামাজ ছিলো উনি ওদের ধমক দিয়ে বললো এই মেয়েকে আমি চিনি আমার পাশের ফ্ল্যাটে থাকে, এটা বলে উনি অনেকটা জোর করেই আমাকে ওদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে একটা মার্কেটের ভেতরে ডুকে যায়। ততক্ষণে আমি বুঝতে পারি আমার মোবাইলটা নিয়ে ওরা চলে যায়। ঐ আংকেলটা আমাকে পানি খেতে দেয় একটু পরে একটা সিএনজি ঠিক করে তুলে দেয় আমাকে। সারা রাস্তায় কান্না করি আমি। আমার দোষটা কি ছিলো। যার জন্য এরা আমাকে এভাবে মারলো আর আমার বাবা মাকে বাজে ভাষায় গালাগালি করলো। এরা কি আসলেই কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী কিনা আমি জানিনা। আমার মনে হলো ঐ আংকেলটা ফেরেশতা রূপে এসে আমার জীবন আর ইজ্জত বাঁচালো। উনি আমাকে চিনেনা, ওদের হাত থেকে বাঁচাতেই উনি আমাকে চিনে বলেছিলো।

আমার অনেক কষ্টের টাকা দিয়ে কিনেছিলাম মোবাইলটা। আমার এই পোস্টটা যদি ঐ ছেলে পর্যন্ত পৌছায় প্লিজ ভাইয়া আমার মোবাইলটা ফেরত দিয়ে দিবেন। আমি কাউকে কিছু বলবোনা। এই পোস্টটা আমি আমার রুমমেটের মোবাইল দিয়ে করতেছি। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেষ একটা কথা বলি যে, আরেকজনকে সম্মান দিতে পারেনা সে কখনো একজন ভালো মানুষ হতে পারে না।”

পোস্টের লিংক:
https://www.facebook.com/farzan.era.731/videos/993529892258009/

এ ঘটনা শেয়ার করেছেন বহু মানুষ, নিজের ওয়াল থেকেও রিপোস্ট করেছেন অনেকেই। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেকেই লাঞ্ছনার শিকার এই নারীর ফেসবুক পোস্টে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে শুরু করেন পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাওয়ায়। এভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা নারীদের সাথে নিপীড়ন চালাচ্ছে, এটি মেনে নেয়া যায় না বলে মত সুশীল সমাজের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট