1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলায় বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও চিকিৎসা ক্যাম্প, সেবা পেলেন ২১৩ জন তুরস্কের তেকিরদাগে খরার কারণে জলাধার শূন্য, জরুরি পানি সীমাবদ্ধতা জারি এআই মানুষের বেশিরভাগ কাজ প্রতিস্থাপন করবে, কিন্তু তারপর কী? যুক্তরাজ্যের অফিস স্পেস প্রদানকারী আইডব্লিউজি’র বার্ষিক মুনাফা পূর্বাভাসের নিম্ন প্রান্তে চীনের জানুয়ারি-জুলাইয়ে রাজস্ব আয় ০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে পটুয়াখালীতে বর্ণিল আয়োজনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দশমিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু পবিপ্রবিতে কোটি টাকার লোন কেলেঙ্কারি, দুদকের অভিযান কসমেটিকস পণ্যের দামে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি: ভোক্তাদের ভোগান্তি, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ পবিপ্রবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন সমাধানে কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

লোয়ার নিয়োস গ্রামে এক রাতের বিষাক্ত গ্যাসের মেঘে মৃত্যু ১৮০০ জনের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ২১৩ বার পড়া হয়েছে

আফ্রিকা, ক্যামেরুন – ১৯৮৬ সালের ২১ আগস্টের রাতে, ক্যামেরুনের লোয়ার নিয়োস গ্রামে এক রহস্যময় ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এক রাতের মধ্যে ১৮০০ জন গ্রামবাসী এবং ৩ হাজারেরও বেশি গবাদি পশু প্রাণ হারায়। এই অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে প্রশাসন এবং বিজ্ঞানীদের বহু সময় লেগেছিল।

ঘটনার বিবরণ: গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সেই রাতে তারা নিয়োস হ্রদের পাশ থেকে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর হ্রদের তলদেশ থেকে উঠে আসে ঘন বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ। গ্যাসের মেঘ দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামবাসীরা এবং গবাদি পশু অক্সিজেনের বদলে বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে। এর ফলে তারা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান।

বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ: বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ গবেষণার পর জানা যায়, নিয়োস হ্রদের তলদেশে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এই আগ্নেয়গিরির লাভার প্রকোষ্ঠ থেকে উৎপন্ন সালফার এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস হ্রদের নিচে ঘনীভূত অবস্থায় ছিল। হ্রদের উপরিভাগে একটি উষ্ণ পানির আচ্ছাদন এই গ্যাসগুলোকে আটকে রাখছিল। তবে সেই রাতে কোনো কারণে এই আচ্ছাদন ভেঙে যায় এবং ঘনীভূত গ্যাসের মেঘ বেরিয়ে এসে এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।

বিপর্যয়ের প্রভাব: বিপর্যয়ের পর, লোয়ার নিয়োস গ্রামের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান এবং অসংখ্য পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়া গবাদি পশুর মৃত্যু গ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও শোচনীয় করে তোলে। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, গোপন সরকারি সংস্থা, অদৃশ্য অস্ত্র বা এলিয়েনদের অতর্কিত আক্রমণের কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।

অবস্থান ও ভূতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট: নিয়োস হ্রদ ক্যামেরুনের একটি পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ৩০টিরও বেশি মার হ্রদ রয়েছে। এই অঞ্চলে এখনো একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, মাউন্ট ক্যামেরুন, আছে। আগ্নেয়গিরির নিচে ৮০ কিলোমিটার গভীরে একটি বড় লাভার প্রকোষ্ঠ আছে, যা থেকে মাঝেমধ্যেই প্রচুর পরিমাণ গ্যাস নির্গত হয়।

উপসংহার: এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, পৃথিবীর প্রাকৃতিক শক্তির সামনে আমরা কতটা অসহায়। এমন বিপর্যয়গুলি আমাদের সচেতন করে তোলে যে, উন্নত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের পরেও প্রাকৃতিক রহস্য এবং বিপর্যয় সম্পর্কে আমাদের বোঝার অনেক কিছু বাকি রয়েছে।

সূত্র: স্থানীয় প্রশাসন এবং বেঁচে যাওয়া গ্রামবাসীদের তথ্য অনুযায়ী প্রাপ্ত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট