কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় নবপরিণীতা মিম (১৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে। নিহত গৃহবধূর পরিবার তাকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামনগর গ্রাম থেকে মিমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মিম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মোস্তফা আলীর ছেলে সুজন আলীর স্ত্রী এবং একই উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাজাহান আলীর কন্যা। শিক্ষার্থী অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিমের বিয়ে হয় সুজনের সাথে।
নিহতের পিতা শাজাহান আলীর অভিযোগ, বিয়েতে দেওয়ার সময় স্বামীপক্ষ টাকা, সামগ্রী ও গহনার দাবি জানিয়েছিল। তিনি সম্পূর্ণ দিতে না পারায় বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পরেই স্বামী সুজন ও শ্বশুর মোস্তফা মিমকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে স্বজনদের কথায় মিমকে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন অব্যাহত থাকে। গত ১৪ জুন রাতে মারধরের ফলে মিমের মৃত্যু হয় এবং পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, নিহত মিমের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আত্মহত্যার অভিযোগ করলেও মিমের পিতা এটি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। তিনি বলেন, মিমের দেহে মারের নানা চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যও মিমের কপালে আঘাতজনিত জখমের চিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে মিমের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি অপরাধমূলক মৃত্যু মামলা রুজু করেছে। অফিসার ইনচার্জ বলেছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা হবে এবং তদনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে, পরিবারের দাবিও বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানানো হয়েছে।