1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর ভোলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬টি হাতবোমা ও ৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক -১ চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অর্থনীতি ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত এমপিও নামক সোনার হরিন কি আদৌ মিলবে? ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অস্ত্রসহ কথিত এক ভূয়া সমন্বয়ক গ্রেফতার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত। ভোলায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জলঢাকায় প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ওস্মারক লিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি

ভূয়া পরিপত্র দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের সোয়া কোটি টাকার গাছ বিক্রি, হিসাবরক্ষক গ্রেপ্তার

মোঃ সোহাগ হাওলাদার, সাভার
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

ভূয়া পরিপত্র দেখিয়ে সোয়া কোটি টাকার ৫ হাজার গাছ বিক্রির অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। গাছ চুরির বিষয়ে স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে নিরাপত্তারক্ষী।

বুধবার দুপুরে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক হাসিব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকা থেকে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা রাজীব মুন্সীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামী নিরাপত্তারক্ষীকে গত মাসের ২৬ই এপ্রিল নালিতাবাড়ী গণস্বাস্থ্যের উপকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার বাতকুচি এলাকার মৃত বাহাদুর আলীর ছেলে নিরাপত্তারক্ষী লাল মিয়া। অপরদিকে সিনিয়র হিসাবরক্ষক রাজীব মুন্সী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার লক্ষীপুরা গ্রামের মৃত লালু মন্সীর ছেলে। সে ২০১১ সালে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পায়।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ১০ই জানুয়ারিতে গাছ বিক্রির জন্য সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা রাজীব মুন্সী নালিতাবাড়ি থানার বাতকুচি গণস্বাস্থ্য উপকেন্দ্র যায়। সেখানে নিরাপত্তারক্ষী লাল মিয়াকে নিজেকে সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিপত্র দেখায়। সেখানে ১২ একর পাহাড়ী জমিতে ১৮বছর আগে রোপন করা ৫ হাজার আকাশী জাতের গাছ বিক্রির জন্য কয়েকজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাগান পরিদর্শন করে রাজীব মুন্সী। পরবর্তীতে নিরাপত্তারক্ষী লাল মিয়াকে এ বিষয়ে চুপ থাকতে বলা হয়। পরে দীর্ঘ তিন মাস পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপকেন্দ্র পরিদর্শন করে জানতে পারেন ভূয়া পরিপত্র দেখিয়ে সোয়া কোটির ৫ হাজার গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। কে বা কারা গাছ বিক্রি করেছে সঠিক তথ্য না পেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়।

নিরাপত্তারক্ষী লাল মিয়া জবানবন্দীতে বলেন, আমি উপকেন্দ্রের ১২ একর জমির ৫হাজার গাছ পাহাড়ায় দায়িত্বে ছিলাম, গততিন মাস আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে শাকিল নামের এক লোক কে বাগানে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে গাছ গুলো বিক্রির একটি কাগজ দেখায়। কিছুদিন পর রাজীব মুন্সী ও শাকিল বাগানে এসে গাছ কাটা শুরু করে। আমি বিষয়টি ম্যানেজারকে জানাতে চাইলে রাজীব মুন্সী নিজেকে বড় স্যার হিসেবে পরিচয় দেন। পরে ২৩ লাখ টাকায় গাছ গুলো বিক্রি হয়। এছাড়া সহযোগিতা করার জন্য আমাকে এক লাখ টাকা দেয়।

গাছ চুরির বিষয়ে শেরপুর জেলার ভাতশালা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক রেহেনা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, গত জানুয়ারি থেকে আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় উপকেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়নি। তবে নিরাপত্তাকর্মীর সাথে নিয়মিত মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। তার কাছ থেকে খোঁজ খবর নেওয়া হতো। তবে গাছ কাটার বিষয়টি সে কখনও জানায়নি। ঈদের ছুটি শেষে বাতকুচি উপকেন্দ্রে গেলে ১২ একরের উপর রোপন করা ৫হাজার গাছ দেখতে না পেয়ে নিরাপত্তকর্মীকে জানতে চাওয়া হয়। পরে সে জানায় গত জানুয়ারিতে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তাকে পরিপত্র দেখিয়ে গাছ কেটেছে। বিষয়টি নিয়ে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যোগযোগ করলে এ ব্যাপারে কোন পরিপত্র করা হয়নি বলে জানায়। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করা হয়।

এ ব্যাপারে তার গাফলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই রয়েছে। তার প্রতি ভরসা করা ঠিক হয়নি। আমার আরও খোঁজ খবর নেওয়া উচিত ছিল। এখন যে কি করবো বুঝতে পারছি না।

কোটি টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) হাসীব হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পর নিরাপত্তীকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে করে রাজীব মুন্সী নামের একজনের সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সাভারের নিরিবিলি এলাকায় তার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই চক্রের সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারের জন্য আরও অভিযান চালানো হবে। এছাড়া বিক্রিকৃত গাছ ও টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি সদস্য মঞ্জুর কাদির আহম্মেদের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর তিনি নিজেই পরিদর্শন করেছেন। আইনগতভাবে চক্রটি ধরতে থানায় কথা বলা হয়েছে।
মঞ্জুর কাদির আহম্মেদের পরিপত্রে সাক্ষরিত পরিপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পরিপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানে পদ ও নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ভূয়া। সাক্ষর জাল করে এই পরিপত্র বানানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট