চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে একবার আরো দেখা গেছে ছাত্ররা ছাত্রীদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। ছেলেদের পাশের হার ৮১.৫৭% এর বিপরীতে মেয়েদের পাশের হার ৮৪.৪৭%। জিপিএ-৫ অর্জনকারীদের মধ্যেও মেয়েরা এগিয়ে রয়েছেন – ৯৮,৭৭৬ মেয়ের বিপরীতে ৮৩,৩৫৩ ছেলে।
বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা ছেলেদের এই পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারকে দায়ী করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। ঘরে থাকলেও মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে।” অভিভাবকেরা ছেলে সন্তানদের মোবাইল দিলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদ বলেন, “সবকিছুর একটা বয়স ও সময় আছে। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে স্মার্টফোন দেওয়া হলে ছাত্রছাত্রীরা এর সঠিক ব্যবহার করতে পারে না।”
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “ছেলে শিক্ষার্থীরা গেমিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছে। এতে পড়ার সময় নষ্ট হচ্ছে এবং পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।”
বিশেষজ্ঞরা অভিভাবক ও শিক্ষক উভয়কেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য না করে সমান আচরণ করতে হবে বলে তাঁরা মনে করেন। স্কুল-কলেজগুলোকেও ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।