1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
 ভোলায় মাওলানা আমিনুল হক নোমানী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও শোক র‌্যালি বোরহানউদ্দিনে নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, বিএনপি নেতাসহ আটক ৪ কলাপাড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনে খাল ভরাট, অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সাংবাদিক মিরন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ইলিয়াস ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার পটুয়াখালীতে তুহিন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পটুয়াখালীতে ৫২ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় নিজস্ব সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা ভোলায় অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভোলার বোরহানউদ্দিনে নারীকে হেনস্তা: পাঁচজন আসামি গ্রেফতার ভোলায় আলেম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শোক র‌্যালি

অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক: বাণিজ্য প্রবাহ ও নিরাপত্তা উত্তেজনার মাঝেও সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ ছয় দিনের সরকারি সফরে চীনের তিনটি শহর পরিদর্শনে আজ সাংহাই পৌঁছেছেন। এই সফরকে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক উত্তেজনা নিরসনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

অতীতের কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে। কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান, হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, এবং চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়ে পারস্পরিক টানাপোড়েন তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের চেষ্টা চলছে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজের সফরে বাণিজ্যিক পুনঃসম্পর্ক স্থাপন, কৃষিপণ্য রপ্তানি ও খনিজসম্পদ নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার একাধিক রপ্তানি পণ্যের ওপর চীন পূর্বে শুল্ক আরোপ করেছিল, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়। বর্তমানে এসব শুল্ক কমানো ও সরানো নিয়ে আলোচনা চলছে।

তবে শুধু অর্থনীতি নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু—বিশেষত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক তৎপরতা, তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে চীনা প্রভাব বৃদ্ধিও আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন কৌশলগত জোট AUKUS-এর সদস্য, যা চীনের দৃষ্টিতে হুমকি স্বরূপ বিবেচিত।

চীন ইতোমধ্যে সফরকে “সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা” হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক ভিন্নমত এবং বিশ্বাসের জায়গা থাকায় সম্পর্ক উন্নয়নের পথে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।


এই সফর শুধু কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা—অস্ট্রেলিয়া ও চীন দুপক্ষই বুঝতে পারছে, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ভারসাম্য বজায় রেখেই টেকসই কূটনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট