প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ৮:২৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ৭:৪৯ এ.এম
ভোলায় দারিদ্র্য হ্রাস ও নারী ক্ষমতায়নে মাইক্রোক্রেডিটের প্রভাব নিয়ে এফজিডি
ভোলায় দারিদ্র্য হ্রাস ও নারী ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণের বাস্তব প্রভাব মূল্যায়নে একটি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) হলরুমে দিনব্যাপী মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (বার্ড) পরিচালিত এ গবেষণামূলক আলোচনা হয়।
এফজিডি পরিচালনা করেন বার্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. আবদুল করিম, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিজানুর রহমান, এমআরএ–এর যুগ্ম পরিচালক রনজিৎ কুমার সরকার এবং সহকারী পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিজেইউএসের পরিচালক (মাইক্রোফিন্যান্স) হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আজাদ হোসেন, উপপরিচালক মো. জাহিদুর রহমান, উপপরিচালক ডা. খলিলুর রহমান, সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
এছাড়া ইমাম, উদ্যোক্তা, সংবাদকর্মী, ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতা, শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ইউপি সদস্যরাও অংশ নেন।
এফজিডিতে অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতারা জানান, ক্ষুদ্রঋণ বহু পরিবারকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হতে সহায়তা করছে। ক্ষুদ্র ব্যবসা, পশুপালন, কারুশিল্পসহ বিভিন্ন উদ্যোগে নারীরা এখন স্বনির্ভরতা অর্জন করছেন। তবে স্বল্পসুদে ঋণ, সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ এবং বাজার-সংযোগ আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তারা তুলে ধরেন।
আলোচনায় আরও উঠে আসে যে ক্ষুদ্রঋণ খাতে মাত্রাতিরিক্ত ওভারল্যাপিং একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রক্সি ইনডিকেটর দিয়ে ঋণ যাচাইয়ের পরিবর্তে ক্রেডিট স্কোরিং, এমএফ–সিআইবি চালু এবং পুরো কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন জরুরি বলে মত দেন অংশগ্রহণকারীরা।
গবেষণা দলের সদস্যরা বলেন, মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করাই এফজিডির মূল উদ্দেশ্য। অংশগ্রহণকারীদের মতামত ও অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পাঠানো হবে, যাতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম আরও কার্যকর হয় এবং নারীদের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত