পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় গাঁজা সেবনের অভিযোগে চার যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার সন্ধ্যায় একটি বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আদালতের রায়ে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি অভিযান চালানো হয়। বেঙ্গল গেস্ট হাউজের পেছনে তালুকদার বাড়ির সামনের এলাকা থেকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় চার যুবককে আটক করা হয় । অভিযানটি পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন সাদেকের নেতৃত্বে একটি টিম, যাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: মোঃ নাসির বিশ্বাস (২০), মো. শাহীন খান (২০), মো. রাকিবুল ইসলাম (২০) এবং মো. রফিকুল ইসলাম (২১)। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন সাদেক ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, "মাদক আমাদের সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের জন্য বিপজ্জনক। কুয়াকাটাকে মাদকমুক্ত ও নিরাপদ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। নিয়ম ভেঙে কেউই পার পাবে না। মাদক সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
কুয়াকাটায় সাম্প্রতিক সময়ে মাদকবিরোধী সচেতনতা ও অভিযান তৎপরতা বেড়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে একাধিক ছাত্রনেতাকে গাঁজা সেবন ও চাঁদাবাজির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় এলাকায় মাদক-সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও সেই ঘটনার সঙ্গে বর্তমান অভিযুক্তদের কোনো প্রত্যক্ষ যোগসূত্র প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এলাকায় মাদকের প্রভাব রোধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রশাসনের ধারাবাহিক মাদকবিরোধী অভিযান কুয়াকাটায় অপরাধ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, পর্যটন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এমন কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকলে তরুণ সমাজ মাদক থেকে দূরে থাকবে এবং কুয়াকাটার ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী আরও প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।