তাইপেই: তাইওয়ান সোমবার ঘোষণা করেছে, অস্ত্র বিস্তার রোধে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের জন্য কোয়ান্টাম কম্পিউটার, উন্নত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন সরঞ্জামসহ দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য (সামরিক-বেসামরিক) প্রযুক্তির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসন এই সংশোধনীর জন্য ৬০ দিনের পর্যালোচনা সময়সীমা ঘোষণা করেছে।
২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে তাইওয়ান বারবার নিজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হালনাগাদ করে আসছে, যাতে তাইওয়ানি উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্য সামরিক উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ব্যবহৃত না হয়। সোমবার প্রকাশিত সংশোধনীতে দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য পণ্য ও প্রযুক্তির তালিকা এবং সামরিক পণ্যের তালিকা উভয়েই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সংশোধনী ওয়াসেনার ব্যবস্থা (Wassenaar Arrangement) অনুযায়ী করা হচ্ছে—যে আন্তর্জাতিক চুক্তি অস্ত্র বিস্তার রোধ করে। কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেও তাইওয়ান এই ব্যবস্থার নিয়মগুলো স্বেচ্ছায় মেনে চলে।
নতুন নিয়ম কার্যকর হলে এই ধরনের পণ্য ও প্রযুক্তি রপ্তানির জন্য তাইওয়ানি কোম্পানিগুলোকে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। কবে থেকে নিয়ম কার্যকর হবে তা এখনও জানানো হয়নি।
চীন তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে দাবি করলেও তাইপেই সরকারের জোরালো বিরোধিতা রয়েছে। এরই মধ্যে চীনে উৎপাদন বা চীনা কোম্পানিকে সরবরাহের ক্ষেত্রে চিপ রপ্তানির ওপর তাইওয়ানের কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গত জুনে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এবং সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন (এসএমআইসি)-কে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যোগ করা হয়, যেখানে তালিবান ও আল-কায়েদার মতো সংগঠনও রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপ নির্মাতা টিএসএমসি (TSMC)-র সদর দপ্তর তাইওয়ানে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষ কোম্পানি এনভিডিয়ার চিপের বড় সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানটি।