পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের বানিয়াকাঠি এলাকায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সরোয়ার হাওলাদার (৫০) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক নয়টার সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের পুকুররাজনা গ্রামের ৫০ বছর বয়সী সরোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বানিয়াকাঠি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং মাথায় লোহার রডের আঘাত করে গুরুতরভাবে আহত করে।
আহত অবস্থায় সরোয়ার তার ফুফাতো বোনের ঘরে আশ্রয় নিলে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তাকে পুনরায় আক্রমণ করে। এ সময় ঘরে উপস্থিত এক কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তাররা তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার এবং সাব-ইন্সপেক্টর সাজ্জিব সাহা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, "ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তি টাকা দেওয়ার কথা বলে সরোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বানিয়াকাঠিতে ইলিয়াসহ চার-পাঁচ জন দুর্বৃত্ত তাকে আক্রমণ করে। সরোয়ার পালিয়ে তার ফুফাতো বোনের ঘরে ঢুকলে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তাকে নির্মমভাবে পিটায়। কিশোরীটির চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।"
নিহত সরোয়ার হাওলাদার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পুকুররাজনা গ্রামের গনি হাওলাদারের পুত্র ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন চালিয়েছে এবং ব্যাপারটি তদন্তের অধীনে রেখেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।