ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া, টবগী, হাসাননগরসহ অন্তত ৫টি গ্রামে গভীর নলকূপ খনন করলেই বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৫ হাজার পরিবার বিনা খরচে এই গ্যাস দিয়ে রান্না করছেন এবং পানির জোগান নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি নলকূপ থেকে গড়ে ৪-৫টি পাইপলাইন টেনে বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। কেউ ড্রাম-কম্প্রেসার বসিয়ে, কেউ সিলিন্ডারে ভরে রান্নার চুলায় ব্যবহার করছেন। এই গ্যাস দিয়েই গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছোট কারখানা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস হাওলাদার ও রত্তন হাওলাদার বলেন, “টিউবওয়েল বসালেই গ্যাস বের হয়। আমরা সেটা পাইপ দিয়ে বাড়িতে নিয়ে রান্না করি। হাজারো পরিবার এভাবেই ব্যবহার করছে।”
গৃহিনী জান্নাত বেগম ও রোজিনা বেগম বলেন, “গ্যাসের জন্য এক টাকাও খরচ হয় না। পানিও ফ্রি পাই।”
৩৫ বছর আগে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের পর থেকেই এলাকায় এই ‘পকেট গ্যাস’ পাওয়া যাচ্ছে। তবে অব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান-উজ্জামান বলেন, “বাপেক্স বলছে এগুলো পকেট গ্যাস। তবু বিনা অনুমতিতে ব্যবহার ঠিক নয়। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
ভোলা বাপেক্সের ডিজিএম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের কোনো কূপের সঙ্গে এগুলোর সংযোগ নেই। তাই আপাতত অনুমতির প্রয়োজন নেই।”
উল্লেখ্য, ভোলায় ২.৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।