পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডিভিএম ও অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি ডিগ্রি বাতিল করে নতুন কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)।
আবেদনকারীরা আদালতে যুক্তি দেন, পবিপ্রবি “পবিপ্রবি আইন, ২০০১”-এর ধারা ২০(ড) লঙ্ঘন করেছে। আইন অনুযায়ী নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে রিজেন্ট বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন বাধ্যতামূলক। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো অনুমোদন ছাড়াই “বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি” নামে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের যুক্তি প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য মনে করে হাইকোর্ট নতুন ডিগ্রির কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং এ সময় শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী ডিভিএম ও অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি কোর্স চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
এছাড়া আদালত রুল জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন—কেন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।
পবিপ্রবির প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. হেমায়েত জাহান বলেন, “আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থী যদি ডিভিএম কিংবা এএইচ ডিগ্রি নিতে চান, তাকে তাই দেওয়া হবে। কাউকে জোর করে কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেওয়া হবে না। এমনকি একজন শিক্ষার্থীও চাইলে তাকে পুরোনো ডিগ্রি দেওয়া হবে।”
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই রিট খারিজের জন্য রবিবারই পিটিশন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল অ্যাডভাইজর কাজ করছেন। ক্লাস-পরীক্ষা যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।”