বরিশাল কোতওয়ালী থানার অধীনে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী আত্মহত্যা প্ররোচনার চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান পলাতক অভিযুক্ত তুষার বাপ্পীকে (১৯) র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৪ সিপিসি-৩-এর যৌথ আভিযানিক দল গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুর ২:৫০ মিনিটে বরগুনা জেলার বেতাগী থানাধীন কাহেলঘাটা এলাকায় তার বাড়ির সামনের পাকা রাস্তা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই যৌথ অভিযানে র্যাবের দল অভিযুক্ত তুষার বাপ্পীকে (পিতা: বশির হাওলাদার, স্থায়ী ঠিকানা: প্যাক প্যাক গলি, নবগ্রাম রোড, কোতওয়ালী, বরিশাল) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বেতাগী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ভিকটিম আরিফা জাহান সানজিদা (১৫), মামলার বাদী সামশুল ইসলামের কন্যা। অভিযুক্ত তুষার বাপ্পী ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সম্পর্কের মাধ্যমে সে ভিকটিমের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ভিকটিম বিয়ের কথা উত্থাপন করলে অভিযুক্ত এবং তার পরিবার নানা বাহানা দেখায়। তারা ভিকটিমের পিতাকে ১০ লক্ষ টাকা এবং একটি মোটরসাইকেলের দাবি জানায়, যা পিতার সামর্থ্যের বাইরে ছিল। বিয়ের বিষয়ে বারবার বোঝানোর পরও অভিযুক্ত ভিকটিমকে মৃত্যুর প্ররোচনা দেয় এবং বিয়ের কোনো ব্যবস্থা করে না।
এর ফলে গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ৯:১৫ মিনিটে ভিকটিম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে তার পিতা সামশুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল এবং নারী নির্যাতনের প্রতিরোধে জাতীয় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
র্যাবের এই গ্রেফতার মামলার তদন্তে নতুন মোড় এনেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্তের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।