কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্পোরেট টেকসই নীতির প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। দুই দেশ সতর্ক করেছে যে এই নিয়মাবলি ইইউ-এর তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে, বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ইইউ যখন কাতার ও মার্কিন শক্তির উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীল।
কাতারএনার্জির এক বিবৃতি অনুযায়ী, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইইউ-এর “কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডিরেকটিভ”-এর প্রস্তাবিত নিয়মাবলি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে কাতারের শক্তি মন্ত্রী সাদ আল-কাবি রয়টার্সকে বলেছিলেন যে এই নিয়মে আরও পরিবর্তন না আনলে কাতার ইইউতে ব্যবসা করতে পারবে না—এমনকি ইউরোপের শক্তি ঘাটতি পূরণে এলএনজি সরবরাহও বন্ধ হতে পারে।
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে কাতার ইউরোপের মোট এলএনজি আমদানির ১২% থেকে ১৪% সরবরাহ করে আসছে। কাতারএনার্জি ব্রিটেনের শেল (SHEL.L), ফ্রান্সের টোটালএনার্জিজ (TTEF.PA) ও ইতালির এনআই (ENI.MI)-এর মতো প্রধান শক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বিশ্লেষক ও তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া ও আলজেরিয়া থেকে পাইপলাইনের গ্যাস প্রবাহ হ্রাস এবং গুদামজাত গ্যাসের নিম্ন মাত্রার কারণে ইউরোপ এই শীতকালে অতিরিক্ত ১৬০টি এলএনজি কার্গো আমদানি করতে পারে। এই পরিস্থিতি ইউরোপের মার্কিন গ্যাসের উপর নির্ভরতা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইইউ এই নীতির মাধ্যমে বড় কোম্পানিগুলোকে তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার ও পরিবেশগত ঝুঁকি মূল্যায়ন ও প্রতিকারের দায়িত্ব দিতে চাইছে। কিন্তু কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তি দিচ্ছে যে এই নিয়মগুলো ব্যবহারিকভাবে অত্যধিক জটিল ও অস্পষ্ট, যা শক্তি নিরাপত্তাকে বাধা দিতে পারে।