ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশে বৃহস্পতিবার ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতত্ত্ব সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ৭০ কিলোমিটার ছিল এবং এর কেন্দ্রবিন্দু আবেপুরা শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা ৬২,০০০-এর বেশি জনসংখ্যার একটি শহর।
ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সকাল ১২:৪৮ মিনিটে (ইউটিসি অনুসারে ০৫:৪৮) সংঘটিত হয়েছে। ইউএসজিএসের তথ্য অনুসারে, এর কেন্দ্রবিন্দু পাপুয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত, যা জায়াপুরা শহর থেকে প্রায় ২১১ কিলোমিটার দূরে। ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ভূমিকম্পের মাত্রাকে ৬.৫ হিসেবে রিপোর্ট করেছে এবং গভীরতা ১১ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে।
প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার ভূমিকম্পের পর কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করেনি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি কোনো গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির তাৎক্ষণিক খবর পাননি বলে জানিয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক আপডেট অনুসারে, পাপুয়ার সার্মি রিজেন্সিতে একটি গির্জা এবং ম্যাফেন টর গ্রামে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় জেলায় আরও কিছু ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন এসেছে, কিন্তু কোনো হতাহতের খবর নেই।
ইন্দোনেশিয়া রিং অফ ফায়ার নামক ভূ-প্রান্তে অবস্থিত, যা বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকম্পীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলে প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিকম্প এবং বিশ্বের অনেকগুলি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অবস্থিত। গত কয়েক সপ্তাহে এই অঞ্চলে একাধিক ভূমিকম্প ঘটেছে, যার মধ্যে ফিলিপাইনের দক্ষিণ উপকূলে ৭.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অন্তর্ভুক্ত, যাতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। পাপুয়ায় গত মাসে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ঘটেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যাতে বলা হয়েছে যে এটি কয়েক সেকেন্ড ধরে অনুভূত হয়েছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছুরণ ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন করছে এবং জরুরি সাহায্যের প্রস্তুতি নিচ্ছে।