চীন এবার তাদের সামুদ্রিক বাণিজ্য বিরোধকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে টেনে এনেছে। দেশটি এমন জাহাজে নতুন বন্দর ফি আরোপ করেছে যেগুলোর মালিকানা বা বিনিয়োগে মার্কিন স্বার্থ জড়িত। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা আনতে পারে—তবে একইসঙ্গে বেইজিংয়ের ‘সামুদ্রিক প্রভাব বিস্তার’ নীতির কঠোর বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রয়টার্সের Breakingviews বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চীনের এই পদক্ষেপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক বাণিজ্য ও শিপিং বিনিয়োগ খাতকে চাপের মুখে ফেলার কৌশল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধ, বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রযুক্তি খাতে নিষেধাজ্ঞার পর এটি নতুন একটি ফ্রন্ট খুলে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন বন্দর ফি কাঠামো চীনা কর্তৃপক্ষ এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে মার্কিন বিনিয়োগকারী বা তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত শিপিং কোম্পানিগুলোর অপারেশনাল খরচ বেড়ে যায়। এর ফলে চীনা বন্দরগুলো ব্যবহার করা আরও ব্যয়বহুল হবে, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের লজিস্টিক ও সাপ্লাই চেইনে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি কেবল অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়াই নয়—রাজনৈতিক সংকেতও। বেইজিং দেখাতে চাইছে যে, তারা শুধু বাণিজ্য নয়, বৈশ্বিক শিপিং ও ফিনান্স খাতেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত।
একজন এশীয় বিনিয়োগ বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, “চীন বুঝে গেছে, সমুদ্রপথের উপর নিয়ন্ত্রণ মানে শুধু বাণিজ্য নয়—গ্লোবাল প্রভাব। এখন তারা সেই ক্ষমতা ব্যবহার শুরু করেছে।”