পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষের সম্ভাবনা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কোডেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, শৈবাল চাষ পরিবেশ সুরক্ষা ও বিকল্প জীবিকার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগ কর্মশালাটির আয়োজন করে। সহায়তা প্রদান করে এআইআরডি (AIRD)।
“উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে কার্বনডাই অক্সাইড প্রতিকীকরণ” শীর্ষক এই কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বিভাগের অধ্যাপক ও উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. রাজীব সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. আরিফুল আলম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মৎস্য) মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ, সহকারী প্রকল্প পরিচালক (সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট) পলাশ হালদার এবং এআইআরডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ সিদ্দিক।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক শৈবাল (ম্যাক্রো অ্যালগি) চাষ শুধু অর্থনৈতিক সম্ভাবনাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায়ও একটি কার্যকর উপায়। শৈবাল প্রাকৃতিকভাবে কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং সাগর তীরবর্তী এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
তারা আরও বলেন, স্থানীয় জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করে এ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই শৈবাল চাষের সম্ভাবনা যাচাই করা হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে বৃহত্তর পরিসরে শৈবাল চাষ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্মশালায় অংশ নেন সংশ্লিষ্ট গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি।