আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। ২০২৬ সালে সম্ভাব্য অতিরিক্ত সরবরাহের বিষয়ে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (IEA) সতর্কতা এবং যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন করে চাহিদা হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী হয়। বিনিয়োগকারীরা IEA–এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখিত সতর্কতার দিকে নজর রাখছেন, যেখানে সংস্থাটি বলেছে—আগামী বছরগুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বাজারে সরবরাহ উদ্বৃত্ত হতে পারে। এতে তেলের দাম আরও চাপের মুখে পড়তে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা জ্বালানি বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির দুই বৃহত্তম শক্তির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে তেলের চাহিদা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি এবং তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর উৎপাদন নীতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে, ওপেক সদস্য দেশগুলোও আগামী সপ্তাহে সরবরাহ সীমিত রাখার বিষয়ে নতুন করে আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।
তেলবাজারে এই মন্দার ফলে শক্তি খাতে শেয়ারমূল্য কিছুটা নিম্নমুখী হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্থিতি ফিরে এলে বাজার পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।