বাড়িভাড়া ২০%, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৭৫% প্রদানের দাবিতে পটুয়াখালীর দশমিনায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। একই সঙ্গে নিরীহ শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় দশমিনা উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে সমাবেশে রূপ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “স্বাধীন দেশে সরকারি-বেসরকারি শব্দটি কেন থাকবে? জুলাই আন্দোলন ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, অথচ এখনো আমরা বৈষম্যের শিকার।”
তারা আরও বলেন, “ন্যায্য দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। এতে বহু শিক্ষক রক্তাক্ত হয়েছেন। জাতি গঠনের কারিগরদের এভাবে অপমান করা সভ্য সমাজের পরিচায়ক হতে পারে না।”
মানববন্ধনে ঘোষণা দেওয়া হয়, যতদিন যৌক্তিক দাবি পূরণ না হবে, ততদিন উপজেলার সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কাজ বন্ধ থাকবে।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নেন ড. ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সোহবর হোসেন, আউলিয়াপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নেছার উদ্দিন, বড়গেপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফোরকান মিয়া, বাংলা বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আনোয়ার হোসেন, গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী খবিরুল বশার রিন্টুসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।