২০২৫–২৬ অর্থবছরে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন। তালিকাভুক্ত জেলেদের নাম প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সবাই সহজেই জানতে পারেন কারা এই সহায়তার আওতায় এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পক্ষিয়া, গংগাপুর, টবগীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের নামের তালিকা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগের মতো তালিকা নিয়ে ভিড় বা হয়রানির ঘটনা কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
টবগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উজ্জামান স্যারের নির্দেশে আমরা প্রথমবারের মতো জেলেদের তালিকা প্রকাশ্যে দিয়েছি, যাতে কেউ বাড়তি ভিড় না করে এবং হয়রানির শিকার না হন।”
স্থানীয় জেলেরা উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এতে প্রকৃত জেলেরা সহায়তা পাচ্ছেন এবং খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময়ে জেলেদের জীবনযাত্রা নির্বাহে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার মোট ১৯,৩৫০ জেলে পরিবারের জন্য পরিবারপ্রতি ২৫ কেজি হারে মোট ৪৮৩.৭৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী জেলে পরিবারের সংখ্যা: বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় ৮০০, গংগাপুর ইউনিয়নে ২,৫২০, সাচড়া ১,৪৬০, দেউলা ৮০০, কাচিয়া ১,৬৭০, হাসাননগর ২,৮৭০, টবগী ২,৫৬০, পক্ষিয়া ১,৮৭০, বড়মানিকা ৩,৪৫০ ও কুতুবা ইউনিয়নে ১,৭৫০।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তালিকা প্রকাশ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যাতে কোনো ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত না হয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে করে বিতরণ কার্যক্রম আরও কার্যকর, স্বচ্ছ ও জনমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।