মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান বলেছেন, “পটুয়াখালীর কলাপাড়া চৌকি আদালত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আদালত। এখানে বর্তমানে সিভিল কোর্টে ৫ হাজার ৬০০টি এবং ম্যাজিস্ট্রেসিতে ২ হাজার ১০০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও কলাপাড়ায় রয়েছে সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তাই অচিরেই এখানে যুগ্ম জেলা জজ আদালত স্থাপন করা জরুরি।”
শনিবার সকালে কলাপাড়া চৌকি আদালত বার ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ।
বিচারপতি জেবিএম হাসান আরও বলেন, “কলাপাড়ার আদালতকে দেশের অন্যান্য চৌকি আদালতের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। এখানকার ভৌগোলিক অবস্থান, বন্দর কার্যক্রম এবং জটিল মামলার পরিমাণ বিবেচনায় এর জন্য আলাদা গুরুত্ব প্রাপ্য। বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনায় কার্যকর বিচারিক কাঠামো অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “বিচারক ও আইনজীবী একই পাখির দুই ডানা — এই দুই পক্ষের পারস্পরিক সমন্বয়েই সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পেতে পারে।”
এর আগে তিনি কলাপাড়া চৌকি আদালত পরিদর্শন করেন এবং বার ভবনে পৌঁছালে আইনজীবীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আলম, যুগ্ম জেলা জজ-১ পারভেজ আহমেদ, যুগ্ম জেলা জজ-২ বেলাল হোসেন, যুগ্ম জেলা জজ-৩ তরুণ বাছাড়, সহকারী জজ মতিউর রহমান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাব্বি ইসলাম রনি, সিনিয়র সহকারী জজ মহিদুল হাসান, এবং চৌকি আদালতের আইনজীবীরা।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।