ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকা থেকে শুক্রবার রাত ১১টায় পুলিশ ইসমাইল মুন্সি (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে। তিনি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক। গত বুধবার চরপাতালিয়ার ভেড়ার খালসংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গেলে হানিফ রাঢ়ীসহ কয়েক জেলেকে স্পিডবোটে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করেন ইসমাইল ও তার সহযোগীরা। চক্রটি ‘হরিণের মাংস পরিবহন’ ও ‘বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা’-র মিথ্যা অভিযোগ এনে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে; পরে আড়তদারের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ও প্রায় ৫০ হাজার টাকার ইলিশ ছিনিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ রাঢ়ীর মামলার পর পুলিশ ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে; অপর তিন আসামি নোমান মুন্সি, কিরণ ঢালী ও হেলাল মাঝি পলাতক।
স্থানীয় জেলেরা জানান, আগস্ট থেকেই ইসমাইল-নোমানের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের চক্রটি নদীতে চাঁদাবাজি করে আসছিল। শনিবার দুপুরে ইসমাইলকে আদালতের মাধ্যমে ভোলা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়; বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির।