পটুয়াখালী জেলায় জাল টাকা সরবরাহ চক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাউফল ও কলাপাড়া উপজেলায় এর বিস্তার সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হলেও কার্যকর প্রতিকার মিলছে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, এ চক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর, বাবলাতলা, বালিয়াতলী, বানাতী এলাকা ছাড়াও কালাইয়া গরু-মহিষের হাট, বাউফল পৌরশহর, বগা ও কালিশুরী বন্দর বাজারে জাল নোটের লেনদেন বেড়েছে। এসব জাল টাকার মধ্যে এক হাজার, পাঁচশ ছাড়াও ২০০ ও ১০০ টাকার নোটও রয়েছে। ধর্মীয় উৎসব—বিশেষ করে ঈদ-উল ফিতর, ঈদ-উল আযহা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এই চক্র সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি সক্রিয় এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও এসব জাল টাকা সরবরাহ করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাল টাকার মান সবসময় এক রকম নয়—কিছু সহজেই ধরা পড়ে, আবার কিছু নোট আসল আর নকল আলাদা করা কঠিন হয়ে যায়। বেশি ভিড় থাকে এমন দোকান, সাপ্তাহিক হাট বা গরু-ছাগলের বাজারে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে তারা।
সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয়রা বলছেন, জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও পুলিশ প্রধানের নির্দেশে থানাভিত্তিক ওসিদের সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা গেলে জাল নোট চক্র ধরা সম্ভব। তাদের দাবি, এ কাজে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। তাই জনগণকে সতর্ক থেকে যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।