ভিয়েতনামে টাইফুন বুয়ালয়ের কারণে মৃতের সংখ্যা ১৯-এ পৌঁছেছে এবং ২১ জন এখনও বিলুপ্ত, যখন অবিরাম বৃষ্টি বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। এটি দেশের এ বছরের সবচেয়ে মারাত্মক ঝড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।
টাইফুন বুয়ালয় উত্তরাঞ্চলীয় মধ্য ভিয়েতনামে স্থলভাগে প্রবেশ করার পর এর প্রভাব আরও তীব্র হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ঝড়ের কারণে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২১ জন এখনও লাপাত্তা। এছাড়া, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঝড়টি বিশেষ করে ঙেহে আন এবং হা তিংহ প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যেখানে বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনও প্লাবিত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ।
অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অবকাঠামো এবং কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকটি অঞ্চলে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি নেমেছে, যা এক লক্ষেরও বেশি ঘরবাড়িকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কৃষি খাতে ১০,০০০ হেক্টরের বেশি ধান ও ফসল প্লাবিত হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা সতর্কবাণী জারি করে বলেছে যে, পরবর্তী ছয় ঘণ্টার মধ্যে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভূমিধস এবং হঠাৎ বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, হানয় সহ অন্যান্য অঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টি, প্রবল বাতাস এবং বিদ্যুৎ চমকের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনামের সরকার ঘটনাস্থলে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এই টাইফুনটি ২০২৫ সালের সবচেয়ে মারাত্মক ঝড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধির একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে, যা দেশের জরুরি প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, “পরবর্তী ছয় ঘণ্টার মধ্যে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভূমিধস এবং হঠাৎ বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।”