কুয়াকাটা সৈকতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভেসে এসেছে ইরাবতী প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের গঙ্গামতি এলাকায় মৃত অবস্থায় ডলফিনটিকে দেখতে পান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জামাল। ডলফিনটির শরীরের পুরো চামড়া উঠানো ছিল এবং দুর্গন্ধে কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব ছিল না। পরে বন বিভাগ এবং উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সমন্বয়ে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
কুয়াকাটা সৈকতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও ভেসে এসেছে ইরাবতী প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের গঙ্গামতি এলাকায় মৃত অবস্থায় ডলফিনটিকে দেখতে পান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জামাল। ডলফিনটির শরীরের পুরো চামড়া উঠানো ছিল এবং দুর্গন্ধের কারণে কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব ছিল না। পরে বন বিভাগ এবং উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সমন্বয়ে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এর আগে, ২০ সেপ্টেম্বর সৈকতের চর-গঙ্গামতি এলাকার তেত্রিশকানি নামক এলাকায় ভেসে আসে একটি মৃত ডলফিন।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, “সকালে জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল ছিল, এ সময় ঢেউয়ের সঙ্গে তীরে ভেসে আসে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠে গেছে। দুর্গন্ধে কাছে ঘেঁষা যাচ্ছিল না। দেখে মনে হয় ২ থেকে ৩ দিন আগে মারা গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১টি, ২০২৪ সালে ১০টি এবং এর আগে ২০২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন তীরে ভেসে এসেছে।”
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল হক বলেন, “শুধু অনুমান করে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। কেউ বলছেন জালে আটকে, কেউ বলছেন জাহাজের ধাক্কা, আবার কেউ বলছেন মাইক্রোপ্লাস্টিক দায়ী। কিন্তু এসবই অনুমান। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়া ডলফিন মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।”
মহিপুর বনবিভাগের কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, “কিছুদিন পর পর সৈকতে এসব মৃত ডলফিনের দেখা মেলে। ডলফিন ভেসে আসার খবর পেয়েছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”