ইন্দোনেশিয়ার গ্রাসবার্গ তামা খনিতে কাদাধসে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ২০২৫ ও ২০২৬ সালের বৈশ্বিক তামা সরবরাহের পূর্বাভাস কমিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম এ খনির উৎপাদন ঘাটতি বৈশ্বিক বাজারে ঘাটতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রাসবার্গ খনিতে ভারী কাদা প্রবাহে শ্রমিকরা আটকে পড়েন এবং খনির বড় একটি অংশ বন্ধ হয়ে যায়। খনি পরিচালনাকারী ফ্রিপোর্ট-ম্যাকমোরান ঘটনাটির পর ‘ফোর্স মেজর’ ঘোষণা করে। গোল্ডম্যান স্যাক্স জানায়, এ ঘটনার ফলে বৈশ্বিক তামা সরবরাহে মোট ৫ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ঘাটতি তৈরি হতে পারে।
২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ১ লাখ ৬০ হাজার টন এবং ২০২৬ সালে ২ লাখ টনেরও বেশি সরবরাহ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু গ্রাসবার্গ খনির উৎপাদনই ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন এবং ২০২৬ সালে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টন কমতে পারে।
গোল্ডম্যান স্যাক্স জানিয়েছে, খনির একটি অপ্রভাবিত অংশ চলতি বছরের শেষ দিকে আংশিকভাবে পুনরায় চালু হতে পারে, তবে পুরো উৎপাদন পুনরায় শুরু হতে সময় লাগবে ২০২৬ পর্যন্ত। এ ঘাটতির ফলে ২০২৫ সালে বৈশ্বিক তামা সরবরাহে পূর্বাভাসিত ১ লাখ ৫ হাজার টনের উদ্বৃত্ত ঘুরে গিয়ে ৫৫ হাজার ৫০০ টনের ঘাটতি তৈরি হবে।
তামার দাম ইতোমধ্যে লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ দাম টনপ্রতি ১০ হাজার ২০০ থেকে ১০ হাজার ৫০০ ডলারের মধ্যে স্থিত হতে পারে বলে ব্যাংকটির পূর্বাভাস। দীর্ঘমেয়াদে ২০২৭ সালের মধ্যে টনপ্রতি দাম ১০ হাজার ৭৫০ ডলার ছাড়াবে বলেও তারা জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রাসবার্গ ছাড়াও কঙ্গোর কামোয়া-কাকুলা ও চিলির এল টেনিয়েন্তে খনিতে উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে তামার দাম আরও অস্থির হতে পারে।