ভোলার বোরহানউদ্দিনের গংগাপুর ইউনিয়নে তেতুলিয়া নদীতে প্রতিবন্ধী ছেলে তানজিল (১৭) পানিতে পড়লে তাকে উদ্ধার করতে নেমে স্রোতের টানে তলিয়ে গেছেন তার মা জেসমিন (৩৬)। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকের এই ঘটনায় ছেলেকে জীবিত তুলে আনা হলেও মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি ১০ ঘণ্টা পরও।
সাকের ভিটা এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তানজিল নদীর ধারে খেলতে গিয়ে হঠাৎ পিছলে পড়ে যায়। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তার মা জেসমিন; কোনো দ্বিধা না করে পানিতে ঝাঁপ দেন। স্রোত অতিরিক্ত থাকায় কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তিনি নিখোঁজ হন। স্থানীয় জেলেরা ছেলেটিকে টেনে তুললেও জেসমিনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের দাদা মো. শাহজাহান খান বলেন, “আমার ছেলের বউ সাঁতার জানত না; তবুও নাতিকে বাঁচাতে ঝাঁপ দিয়েছে। এখন পরিবারে শুধু আশায় বুক বাঁধছি—সে যেন জীবিত ফিরে আসে।” খবর পেয়ে বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিস ও লালমোহান ডুবুরি দল দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬০০ মিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, “পানির গভীরতা ১২-১৪ ফুট, স্রোত তীব্র; ডুবুরিরা তিন দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন বলেন, “তেতুলিয়া নদীর এই খণ্ডে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটে; কিন্তু নদীর পাড়ে কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড বা রেলিং নেই। দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি স্থায়ী সুরক্ষা দাবি করছি।”