শনিবার ভোরে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর পোল্যান্ড ও মিত্রবাহিনীর যুদ্ধবিমান দ্রুত উড্ডয়ন করে ন্যাটো-সদস্য দেশটির আকাশসীমা নিরাপদ রাখতে টহল শুরু করে। ঘটনাটি পূর্ব ইউরোপে চলমান উত্তেজনার নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
পোলিশ সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, “পোলিশ ও মিত্র বিমান বাহিনী আমাদের আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে; পাশাপাশি স্থলভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ও রাডার গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।” স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ইউক্রেনের প্রায় সম্পূর্ণ অংশই বায়ুসংকেত সতর্কতা জারি হয়, কারণ রুশ বাহিনী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও শাহেদ-সিরিজের ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে।
এদিকে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলে সদস্য দেশগুলোর আকাশসীমায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ড প্রথমবারের মতো নিজ ভূখণ্ডে ঢোকা রুশ ড্রোন ভূপাতিত করে, যাকে মস্কো “অপ্রত্যাশিত” বলে উড়িয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক জানান, “আমরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ন্যাটোর অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুরোধ করেছি; পূর্ব সেন্ট্রি অপারেশনের আওতায় মিত্র বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হবে।”
রোমানিয়াও একই দিন পূর্ব সীমান্তে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উড়িয়ে রুশ ড্রোনের উপস্থিতি শনাক্ত করে; বুখারেস্ট জানায়, ড্রোনটি প্রায় ২০ কিমি ভেতরে ঢুকে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়। ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট্টে সব সদস্য দেশকে “পূর্ব অঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার ও বাস্তব-সময় তথ্য বিনিময়” বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ১৯তম মাসেও পুতিন প্রশাসন পশ্চিমি সহায়তা ব্যাহত করতে সীমান্তবর্তী ন্যাটো দেশগুলোতে ‘হাইব্রিড পরীক্ষা’ চালাচ্ছে। ফলে জোটের পূর্বাঞ্চলে স্থায়ী ‘ড্রোন প্রাচীর’ গড়ে তোলার দাবি জোরালো হচ্ছে।