গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারে অপ্রত্যাশিত পতন ঘটেছে—সম্পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান হ্রাস পেলেও সামগ্রিক বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকায় দেশটির অর্থনীতিতে ধীরগতির নরম অবস্থানের ইঙ্গিত মিলছে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এবিএস) বুধবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে নিট ১৪ হাজার ৩০০টি কর্মস্থান কমেছে, যেখানে বিশ্লেষকেরা আগে ২৫ হাজার বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সম্পূর্ণকালীন পদ হারিয়েছে ২৪ হাজার ৮০০টি, আর খণ্ডকালীন কাজ ১০ হাজার ৫০০টি বেড়েছে। ফলে কর্মঘণ্টা গড়ে ০.৩ শতাংশ কমে গেছে এবং মাসিক মজুরি প্রবৃদ্ধি ০.৬ শতাংশে নেমে এসেছে—গত ছয় মাসের সর্বনিম্ন। অবশ্য শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হার ০.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৬৬.৭ শতাংশ হওয়ায় বেকারত্বের হার ৪.১ শতাংশেই স্থির থাকে, যা ২০২১ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি। সিডনিভিত্তিক এক বিনিয়োগ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ মার্সেলা টিলার রয়টার্সকে বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক (RBA) যে ধীরে ধীরে চাহিদা শিথিল করছে, তাঁদের কৌশল কাজে দিচ্ছে; তবে পূর্ণকালীন চাকরির হ্রাস মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়তা করবে বলে আমরা মনে করি।” বাজার ধারণা, RBA আগামী মাসে নীতিহার অপরিবর্তিত রেখে ডিসেম্বরে অতিরিক্ত ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে। অস্ট্রেলিয়ান ডলার তথ্য প্রকাশের পর ০.২ শতাংশ কমে ৬৬.১২ মার্কিন সেন্টে নেমে আসে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষা ও আতিথেয়তা খাতে নিয়োগ বেড়েছে; কিন্তু নির্মাণ ও কৃষিক্ষেত্রে মৌসুমি কাজ কমায় সামগ্রিক সংখ্যা নিম্নমুখী হয়েছে।