পটুয়াখালীর বাউফলে ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে না পেয়ে তার বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা টিপু খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে। অভিযোগ অনুযায়ী, মেয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে রিকশা থামিয়ে ওই নারীকে এবং রিকশাচালককে মারধর করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু খান। স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী নারীর ছেলে নাসির আহমেদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত টিপু খান দুজনেই মদনপুরা ইউনিয়নের দরগাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
সম্প্রতি টিপু খানের ইয়াবা সেবনের ছয় সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জন্য নাসির আহমেদকে দায়ী করেন টিপু খান। ভুক্তভোগী নারী জানান, তাকে মারধরের পর রিকশা রেখে দেন টিপু খান এবং রিকশাচালকদের তাকে বহন না করতে ও দোকানিদের তার কাছে পণ্য বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। এতে তিনি কার্যত ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়া তার ছেলে নাসির আহমেদ ও মেয়ের জামাই সরকারি কলেজের প্রভাষক জহিরুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নাসির আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, “আমি ভিডিওর ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে ভিত্তিহীনভাবে অভিযুক্ত করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত টিপু খান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ভিডিওটি নাসির ছড়িয়েছে, এ ব্যাপারে আমার নিশ্চিত তথ্য আছে। তবে আমি তার মায়ের গায়ে হাত তুলিনি। যে রিকশা চালক তাকে নিয়ে যাচ্ছিল, তাকে আমি আগে রিকশা কিনে দিয়েছিলাম। রাগের বশে তাকে লাঠি দিয়ে দুইটা আঘাত করেছি।” দোকানিদের পণ্য না দেয়ার নির্দেশনার অভিযোগকেও তিনি আংশিক অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”