পোল্যান্ড কর্তৃক বেলারুশ-ভিত্তিক চোরাকারবারিদের দুটি ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনার পর ন্যাটো ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে বিমান প্রতিরক্ষা এবং সেনা ঘূর্ণন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ এটিকে আগামী মাসের শীর্ষ সম্মেলনের আগে একটি “জাগরণের ডাক” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্প্রতি দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশকারী দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যেগুলো বেলারুশ-ভিত্তিক চোরাকারবারিদের দ্বারা পরিচালিত বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে নিরাপত্তা উদ্বেগকে আরও তীব্র করেছে। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, “এই ঘটনা আমাদের জন্য একটি জাগরণের ডাক। আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।” তিনি আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই পদক্ষেপের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
ন্যাটোর পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে পূর্ব ইউরোপে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সেনা ঘূর্ণন বাড়ানো। এই পদক্ষেপগুলো এই অঞ্চলে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা বেলারুশ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ন্যাটোর কৌশলগত অবস্থানকে আরও জোরদার করতে পারে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, পোল্যান্ড সরকার জানিয়েছে যে তারা তাদের আকাশসীমা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যাটোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ন্যাটোর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই ধরনের ঘটনার জবাবে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।”
এই পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং ন্যাটোর ঐক্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি বেলারুশ এবং তার মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টির ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। আগামী শীর্ষ সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।