২০২৫ সালের শেষ দিকে পূর্ব আফগানিস্তানে ঘটিত ধারাবাহিক ভূমিকম্প, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও মানবিক চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বৈদেশিক সহায়তার অভাব এবং ব্যাপক বহিষ্করণের কারণে দেশটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী, 'প্রজন্মান্তরীয়' মানবিক সংকটের মুখোমুখি করেছে।
২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট রাতে পূর্ব আফগানিস্তানে একটি ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও মানবিক চাহিদার সৃষ্টি হয় । এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই গভীর মানবিক সংকটে ভুগছে এমন একটি দেশে আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। ২০২৫ সালে, আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগণ, অর্থাৎ প্রায় ২.২৯ কোটি মানুষ জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বলে আকলিত হয়েছে । এই চাহিদা পূরণের জন্য মানবিক সহায়তা ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (HNRP) ২০২৫ এই পরিসংখ্যান চিহ্নিত করেছে । ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৫ সালে আফগানিস্তানের জন্য ১৬.১ কোটি ইউরো মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । তবে, ভূমিকম্পপীড়িতদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি বাবু রাম পান্ত জানিয়েছেন । জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) তার অংশীদারদের সাথে মিলিতভাবে তাৎক্ষণিক মানবিক প্রতিক্রিয়াকে প্রাথমিক পুনরুদ্ধার ও সহনশীলতার সাথে যুক্ত করার কাজ করছে । মার্চ ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, আফগানিস্তানের ৪.৬ কোটি জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ২.২৯ কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বোধ করছে । বিদেশি সহায়তার হ্রাস এবং বড় আকারে বহিষ্করণের পরিস্থিতি এই সংকটের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাকে আরও কঠিন করে তুলছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে।