চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দেশটির ইতিহাসের বৃহত্তম সামরিক প্যারেডের আয়োজন করছেন, যার মাধ্যমে বেইজিং নতুন এক আন্তর্জাতিক কাঠামোর দায়িত্বশীল রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যোগাযোগ করবেন। চলমান বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই প্যারেডে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নামক বরিষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
চীনের শীর্ষ নেতা শি জিনপিং ২০২৫ সালের এই বৃহত্তম সামরিক প্যারেডের মাধ্যমে দেশটির সামরিক শক্তি প্রদর্শন করবেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে একটি নতুন বৈশ্বিক শাসন কাঠামোর চিত্র তুলে ধরবেন। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তে একটি নতুন গ্লোবাল অর্ডারের প্রতি চীনের প্রতিশ্রুতি এবং নেতৃত্ব প্রদানের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যারেডটি শুধুমাত্র সামরিক শক্তির প্রদর্শনী নয়, বরং চীনের বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি অংশ। এতে বেইজিং তার শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ অবস্থান তুলে ধরতে চায়, যা অতীতের প্রথাগত শক্তি কেন্দ্রগুলির পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।
এই সামরিক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন-এর উপস্থিতি অঞ্চলীয় ও বৈশ্বিক প্রভাব নিশ্চিত করবে। এদের সমর্থন চীনের এই গ্লোবাল অর্ডার স্থানান্তরের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, করোনাকালীন বিশ্ব অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং সামরিক শক্তির ভারসাম্যের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে চীনের এই পরিকল্পনা একটি শক্তিশালী সংকেত হিসেবে কাজ করবে। তবে, পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে এই পদক্ষেপ সম্পর্কে সংশয় এবং প্রতিক্রিয়া তীব্র হতে পারে।