নিউইয়র্কে শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং-সপ ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৮,৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন-সংক্রান্ত ব্যয় ভাগাভাগি এবং চীনের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সামরিক তৎপরতা নিয়ে সমন্বিত অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে মূল আলোচনা করেছেন।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২৬ সালে শেষ হতে যাওয়া বর্তমান পাঁচ বছরের বিশেষ ব্যবস্থাপনা চুক্তির (SMA) পরবর্তী ধাপে “ন্যায্য ও পারস্পরিকভাবে লাভজনক” অবদান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তায় দুই পক্ষ একমত হয়। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প সিউলের বার্ষিক অবদান ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার দাবি তুলেছিলেন; এবার তিনি নির্দিষ্ট কোনো অঙ্ক উল্লেখ না করলেও “কোরিয়া ধনী দেশ, আরও বেশি দিতে হবে” মন্তব্য করেন।
চীন ইস্যুতে সমন্বিত অবস্থান
বৈঠকের দ্বিতীয়ার্ধে কোরীয় উপদ্বীপ ও তাইওয়ান প্রণালীর কাছে চীনের সাম্প্রতিক বিমান-নৌ মহড়ার প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী লি মার্কিন পরমাণু-চালিত সাবমেরিন ও B-52 বোমারু বিমানের ধারাবাহিক মোতায়েন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান, পাশাপাশি ভবিষ্যৎ বাণিজ্য বা প্রযুক্তিনির্ভর বিধিনিষেধে সিউলকে পূর্ব পরামর্শের আহ্বান জানান। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “চীন শক্তিকে সম্মান করে; কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে।” তিনি যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-অস্ট্রেলিয়া-ভারতের ‘কোয়াড-প্লাস’ ফর্ম্যাটে সিউলকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া
সিউলে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা বলেছেন, SMA-তে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান জাতীয় পরিষদে অনুমোদন পেতে বাধার মুখে পড়তে পারে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধি কিম ব্যুং-জু মন্তব্য করেন, “জোটের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু করদাতাদের স্পষ্ট লাভ-ক্ষতি বিশ্লেষণ দেখাতে হবে।”
পরবর্তী পদক্ষেপ
আগামী মাসে ওয়াশিংটনে দুই দেশের কর্মকর্তারা প্রযুক্তিগত আলোচনা শুরু করবেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, লক্ষ্য হচ্ছে “মার্কিন নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই একটি কাঠামো চূড়ান্ত করা”।