পটুয়াখালী পাশা ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিনব্যাপী “অ্যাওয়ারনেস রেইজিং অ্যাক্টিভিটিস টু এলিমিনেট জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স” বিষয়ক এক বিশেষ ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাউন্ডেশন ফর এ জাস্ট সোসাইটি এবং ফাউন্ডেশন ফর উইমেন পসিবিলিটিস-এর অর্থায়নে এবং সুবো’র (SUVO) সহযোগিতায় আয়োজিত এই ট্রেনিংয়ে সেক্স ও জেন্ডার, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা, অনলাইন জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা, নারীর প্রতি সহিংসতার কষ্টদায়ক প্রভাব এবং এর প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
ট্রেনিংয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী এবং যুব প্রতিনিধিরা অংশ নেন, যারা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। আদর্শ মানব সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আফরোজা আকবর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ট্রেনিংয়ের প্রশিক্ষক হিসেবে সুবো’র পরিচালক হাসিনা বেগম নীলা বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সমাজের সব স্তরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।” তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ অপরিহার্য।
ট্রেনিংয়ে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে:
অংশগ্রহণকারীরা জেন্ডার ভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণ, সহিংসতা প্রতিরোধ, এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তারা স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা, শিক্ষামূলক কর্মশালা, এবং নীতি সংস্কারের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা এবং অনলাইন সহিংসতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
বাংলাদেশে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে হয়রানি এবং সাইবার সহিংসতা নারী ও তরুণীদের জন্য নতুন হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং যুব সম্প্রদায়কে সচেতন ও সক্রিয় করার মাধ্যমে জেন্ডার সমতা এবং নিরাপদ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই ট্রেনিং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আয়োজকরা এই ধরনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে আরও বেশি মানুষের সম্পৃক্ততার আহ্বান জানিয়েছেন।