এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকারি শিক্ষকদের সমান বেতন-ভাতা, বোনাস, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবসর ভাতার হয়রানি বন্ধ, কওমি সনদধারীদের সরকারি চাকরির সুযোগ, বৃত্তি পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে পটুয়াখালীতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা কমিটি। শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শহরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনটি জেলা জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি মাওলানা মো. সিদ্দিকুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির (বরিশাল) সাংগঠনিক সম্পাদক আর আই এম অহিদুজ্জামান, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি হাওলাদার মো. সেলিম মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুহা. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা মো. নেছার উদ্দিন, সেক্রেটারি এইচএম আব্দুল হাকিম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাস্টার মো. সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিন, জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মু. আলী হাসান রুহানী, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. ফেরদাউস খান এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মিরাজ হোসেন।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আনসার উল্লাহ আনসারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রধানের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শিক্ষা খাতে ৯৬% দায়িত্ব পালন করলেও তাদের সুযোগ-সুবিধা সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় অত্যন্ত কম। এই বৈষম্য দূর করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ অত্যন্ত জরুরি।”
অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকারি শিক্ষকদের মতো শতভাগ উৎসব বোনাস, ৪০% বাড়ি ভাড়া এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। বৃত্তি পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সময়মতো অবসর ভাতা প্রদানে হয়রানি বন্ধ, কওমি সনদধারীদের জন্য সরকারি চাকরির সুযোগ এবং শিক্ষা ব্যয় রাষ্ট্র কর্তৃক বহনের দাবি উত্থাপিত হয়। বক্তারা আরও বলেন, ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনের শেষে সকল জনগোষ্ঠীর কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবুল হাসান বোখারী।