যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল সুইডেনের স্টকহোমে দ্বিতীয় দিনের জন্য আলোচনায় মিলিত হয়েছে, যার লক্ষ্য ট্যারিফ সংক্রান্ত উত্তেজনা হ্রাস করা এবং সাপ্লাই চেইনের উপর হুমকি সৃষ্টিকারী সম্ভাব্য সংঘাত এড়ানো। আগামী আগস্টে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তির জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক ট্যারিফ আরোপ এবং পাল্টা-ট্যারিফের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ বাণিজ্য নীতির উত্তেজনা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। স্টকহোমে এই বৈঠককে নিরপেক্ষ ভূমিতে আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা একটি গঠনমূলক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যা উভয় দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।” চীনা প্রতিনিধি দলও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, “আলোচনার মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধানে পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আলোচনার ফলাফল বৈশ্বিক বাণিজ্য, বিশেষ করে প্রযুক্তি, অটোমোবাইল এবং ভোগ্যপণ্যের বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আগস্টের সময়সীমার আগে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে, ট্যারিফের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই আলোচনার ফলাফলের দিকে বৈশ্বিক বাজার এবং বিনিয়োগকারীরা নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। একটি সফল চুক্তি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক সংকেত হিসেবে কাজ করতে পারে, যখন ব্যর্থতা আরও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণ হতে পারে।