ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশিত লাভের পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে, যা শক্তিশালী ওষুধ বিক্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ চাহিদার ফলে সম্ভব হয়েছে। মার্কিন ট্যারিফের হুমকি এবং শিল্পে মূল্য নির্ধারণের চাপ সত্ত্বেও কোম্পানিটি এই সাফল্য অর্জন করেছে। কোম্পানিটি ভবিষ্যৎ বৃদ্ধির প্রত্যাশায় তার লভ্যাংশও বাড়িয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার মূল ওষুধ, বিশেষ করে ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলোর বিক্রি বৃদ্ধি এই লাভের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন বাজারে কোম্পানির ওষুধের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা এই ত্রৈমাসিকে তাদের আর্থিক কর্মক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাসকেল সোরিওট বলেছেন, “আমাদের শক্তিশালী পণ্য পোর্টফোলিও এবং বৈশ্বিক বাজারে কৌশলগত পদক্ষেপ আমাদের এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য ট্যারিফ আরোপের হুমকি এবং ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের চাপ থাকা সত্ত্বেও, অ্যাস্ট্রাজেনেকা আশাবাদী যে তারা তাদের উদ্ভাবনী গবেষণা এবং নতুন ওষুধের উন্নয়নের মাধ্যমে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখবে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন ওষুধের পাইপলাইন ঘোষণা করেছে, যা আগামী বছরগুলোতে তাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লভ্যাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে, এবং কোম্পানির শেয়ার মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। শিল্প বিশ্লেষকরা মনে করেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই সাফল্য ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে তাদের শক্তিশালী অবস্থানের প্রমাণ।