ভারতের সরকারি বেকারত্বের হার (৫.৬%) বাস্তব চিত্র তুলে ধরে না— এমন দাবি তুলেছেন একদল স্বাধীন ও শীর্ষ অর্থনীতিবিদ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি জরিপে অংশ নিয়ে তারা জানান, বেকারত্ব ও অপূর্ণ কর্মসংস্থান (underemployment) নিয়ে ভারতের বর্তমান সরকারি পরিসংখ্যান বস্তুনিষ্ঠ নয় এবং অনেকাংশেই বিভ্রান্তিকর।
বিশ্লেষকদের মতে, "চাকরি আছে" বলে বিবেচিত হওয়ার সরকারি সংজ্ঞা অত্যন্ত পুরোনো এবং বাস্তব শ্রমবাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। একজন ব্যক্তি যদি সপ্তাহে মাত্র এক ঘণ্টা কাজ করেন, তাকেও ‘নিয়োজিত’ হিসেবে গণনা করা হয়, যা প্রকৃত বেকার পরিস্থিতিকে আড়াল করে।
অক্সফোর্ড, দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্স এবং ICRIER-এর একাধিক অর্থনীতিবিদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন—
"বেকারত্বের পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যার খেলা নয়; এটি সামাজিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার বিষয়। সরকার যদি প্রকৃত তথ্য গোপন করে, নীতি নির্ধারণেও ভুল হবে।"
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে বেকার সমস্যা একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোদি সরকারের আমলে রেকর্ড সংখ্যক যুবক-যুবতী সরকারি চাকরির আবেদন করেছেন, কিন্তু নিয়োগের হার কম।
তথ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, শিল্প, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষি খাতে স্থায়ী কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে। অনেকেই অস্থায়ী, খণ্ডকালীন বা ‘গিগ’ কাজের উপর নির্ভরশীল, যা তাদের জীবনমান ও সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।