পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের দিয়ারআমখোলা গ্রামে মোসা. মারজিয়া আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মারজিয়া আক্তার পূর্ব আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা আলম প্যাদার মেয়ে। তার স্বামী জাহিদ প্যাদা তার আপন চাচাতো ভাই।
জাহিদ প্যাদা জানান, “রাতে মারজিয়া আমাকে ফুচকা আনতে বলেছিল। মাছের গদিতে কাজের চাপ বেশি থাকায় আমি অনেক রাতে বাসায় ফিরি এবং ফুচকা না এনে মাছ নিয়ে ফিরি। এতে সে রাগ করে। মাছ কাটার পর সে মোবাইল ব্যবহার করলে আমি তাকে এত রাতে মোবাইল না দেখতে বলি। এরপর সে রাগ করে বারান্দায় গিয়ে ঘুমাতে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সে বারান্দায় গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে।”
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, “দিয়ারআমখোলা গ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি (Unnatural Death) মামলা রুজু করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।”
মৃত্যুর ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং স্বামীর বর্ণনার মধ্যে অসংগতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।