অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবেনিজ চীনের ঐতিহাসিক মহাপ্রাচীরের পাদদেশে দাঁড়িয়ে তার দেশের বিদেশি বিনিয়োগ যাচাই ও স্ক্রিনিং নীতি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন।
চীন সফরের অংশ হিসেবে মহাপ্রাচীর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,
“বিদেশি বিনিয়োগ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগ যাচাই প্রক্রিয়া আমাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্তের অংশ।”
চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক বিগত কয়েক বছরে উত্তেজনার মধ্য দিয়ে গেলেও অ্যালবেনিজ সরকারের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হচ্ছে। তবে চীনা বিনিয়োগ বিশেষ করে খনিজ, কৃষি এবং প্রযুক্তি খাতে বাড়তে থাকায় অস্ট্রেলিয়া কঠোর মনোভাব বজায় রেখেছে।
অস্ট্রেলিয়ার Foreign Investment Review Board (FIRB) সম্প্রতি চীনের কয়েকটি কোম্পানির বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করে। সরকার বলছে, দেশের কৌশলগত খাতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অ্যালবেনিজের ভাষ্য অনুযায়ী,
“অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর জাতীয় নিরাপত্তা—দু’টিই আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সম্পর্ক জোরালো হোক, কিন্তু নীতিগত নমনীয়তা নয়।”
এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি, তাইওয়ান সংকট এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়া চায়, আঞ্চলিক অংশীদারত্ব বজায় রেখেও সার্বভৌম স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে।
বিশ্লেষকদের মতে, মহাপ্রাচীরের মত একটি রাজনৈতিকভাবে প্রতীকী স্থান থেকে এমন বার্তা দেওয়ার পেছনে রয়েছে কূটনৈতিক কৌশল।