মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বাজারে অঞ্জলী মিষ্টান্ন ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী পদ্মকুমার ও ওই দোকানের কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কয়ছর উদ্দীন বাবু'র বিরুদ্ধে। তার এলোপাতারি হামলায় দোকানের কর্মচারী পঙ্কজ দাশ (৩০) সহ অপর কর্মচারী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতের সাড়ে সাতটার দিকে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রের বরাতে জানা যায়, রাজনগর বাজারের সেন্ট্রাল রোডের অঞ্জলী মিষ্টান্ন ভান্ডারে বুরিন্দা (বুন্দিয়া) কিনতে যান উপজেলার পাঠানটুলা গ্রামের মৃত মনাফ উদ্দীনের ছেলে উপজেলা যুবদলের ৫ নং যুগ্ম আহ্বায়ক কয়ছর উদ্দীন বাবু। দোকানের শো-কেসে রাখা অল্প বুরিন্দায় হবে না জানালে দোকান মালিক আরোও বুরিন্দা দিতে পারবেন বলে জানান। এসময় তিনি (কয়ছর উদ্দীন বাবু) দোকানের পিছনের কারখানায় ঢুকেন। তখন কর্মচারী পঙ্কজ দাশ তাকে বাঁধা দেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পঙ্কজকে চড় থাপ্পর দেন। ভিতরে থাকা মিষ্টির কারীগর এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করেন। দোকানের ভিতরে চিৎকার শুনে দোকান মালিক পদ্ম কুমার চন্দ পাশের দোকানে থাকা রাজনগর বাজার কমিটির সম্পাদক নাহাজ খাঁনকে আনতে যান। নাহাজ আসারপর দোকানের ভিতরের দরজা খুললে যুবদল নেতা কয়ছর উদ্দীন বাবু তাদের ওপর হামলে পড়েন। বাবুর হাতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন এতে দোকান মালিক পদ্ম কুমার চন্দ (৫৫) ও কর্মচারী পঙ্কজ দাশ (৩০) আহত হন। তাদের চিৎকারে আশপাশের অন্যান্যরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। তাদের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বাজার কমিটির সম্পাদক নাহাজ খাঁন বলেন, সে ভুল করেছে। তার ভাই ও আত্মীয়-স্বজন আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন খাঁন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি বাজার কমিটি দেখবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের আমরা বলে এসেছি অভিযোগ দায়ের করার জন্য। অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।