ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তা না দেয়, তবে সেটি শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়—ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট ন্যাটোর নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও একটি বড় ধাক্কা হবে।
এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ইউক্রেন একা নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র পেছিয়ে যায়, তার নেতিবাচক প্রভাব শুধু ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে না—আমরা পুরো পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য ও প্রতিরক্ষার ভিত্তিকে দুর্বল করে ফেলবো।"
তিনি আরও বলেন, "এই মুহূর্তে সাহসিকতা ও একতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"
যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাজেট জটিলতার কারণে ইউক্রেনে সহায়তার ধারাবাহিকতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে অতিরিক্ত সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে দ্বিধা দেখা গেছে, যার ফলে ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম ও প্রতিরক্ষা সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা কমে গেলে রাশিয়ার আগ্রাসন আরও তীব্র হতে পারে এবং সেটি ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকি বাড়াতে পারে।
ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কমে গেলে ইউরোপীয় দেশগুলোকেই দীর্ঘমেয়াদে আরও বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় বহন করতে হবে।
ডেনমার্কসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, ইউক্রেনকে নিরস্ত করা মানে রাশিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া—এবং সেটি গোটা ইউরোপের জন্য বিপর্যয়কর।
এই বিবৃতিতে ইউরোপের উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে পূর্ণ সহায়তা না দেয়, তবে সেটি শুধু একটি দেশ নয়—পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য একটি যুগান্তকারী বিপর্যয় হয়ে দাঁড়াবে।