গত ২৫ জুন ২০২৫ ইং তারিখে “লংগদুতে বিজিবি কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন” শিরোনামে Hill Voice নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একটি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পাহাড়ে সক্রিয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পরিচালিত এ ওয়েবসাইটটি দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। সর্বশেষ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পেশাদারিত্ব ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সর্বদা সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালার আলোকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কোনো অবস্থাতেই বিজিবি সাদা পোশাকে টহল বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে না। তাদের সব কার্যক্রমই হয় ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায়, যথাযথ নিয়ম মেনে।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে বিজিবি পার্বত্য অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখে। সম্প্রতি, ২৫ জুন ২০২৫ তারিখ বিজিবির রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডারের সভাপতিত্বে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় হেডম্যান, কারবারী, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সামাজিক সম্প্রীতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
Hill Voice-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনজন নিরীহ দোকানদারকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গঠিত। এর মাধ্যমে জনসাধারণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে। এতে শুধু নিরীহ নাগরিকদের সম্মানহানি হয় না, বরং একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শিক্ষা সহায়তা, মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম ও জরুরি সেবায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। তারা পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের পাশে থেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতে কাজ করে থাকে।
বিজিবি বলেছে, “আমরা এই সংবাদে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গণমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন সঠিক তথ্য যাচাই করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মানদণ্ড বজায় রাখে।”
বিজিবির মতে, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন শুধু সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করে না, বরং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও জনগণের মধ্যে অবিশ্বাসের দেয়াল তুলতে চায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।