কিয়েভ ও মস্কো – ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন করে উত্তাল হয়ে উঠেছে। রাশিয়া সম্প্রতি ইউক্রেনের উপর সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেখানে প্রায় ৩৭০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে এবং বহু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় “কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু” গুলিকে লক্ষ্য করা হয়। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, ওদেসা এবং লভিভসহ বিভিন্ন শহরে ঘন ঘন বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড দেখা গেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, এই হামলা ছিল রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে ব্যাপক ড্রোন-ভিত্তিক আক্রমণ।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন ১১টি রুশ অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালায়। এই হামলায় বেশ কয়েকটি তেল ডিপো, রেললাইন ও সামরিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ মস্কোর সব বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় এবং আকাশসীমায় সতর্কতা জারি করে।
রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেন সীমান্তবর্তী নোভেনকে ও বিলোভোডি গ্রাম দুটিকে পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। যদিও ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এখনো এই দাবি নিশ্চিত করেনি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ দেখা গেলেও, পাল্টা হামলা ও সামরিক উত্তেজনা সেই প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা পরিস্থিতি শান্ত করতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে “পাগল” (crazy) বলে উল্লেখ করেন।
ক্রেমলিন এই মন্তব্যকে “আবেগঘন মুহূর্তের প্রতিক্রিয়া” হিসেবে উল্লেখ করে তা গুরুত্বহীন বলে মন্তব্য করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের তৃতীয় বছরে গিয়ে উভয় পক্ষই উন্নত প্রযুক্তি ও ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়েছে। এটি যুদ্ধের প্রকৃতি পরিবর্তন করছে এবং বেসামরিক প্রাণহানি ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি ক্রমাগত বাড়ছে।