পটুয়াখালী জেলায় চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় কলাপাড়ায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড খরতাপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন।
তীব্র তাপে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল, মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। দৈনিক মজুরি করে জীবিকা নির্বাহকারী শ্রমিকরা সামান্য কাজ করেই হাঁপিয়ে উঠছেন। মৌসুমি সবজি চাষি এবং ফলের বাগানিরা তপ্ত রোদে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন।
স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া এবং চর্মরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক রোগীর সংख্যা উল্লেখযোগ্য। তীব্র গরমে সব শ্রেণির মানুষ অস্বস্তিতে থাকলেও, খেটে খাওয়া শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। একজন স্থানীয় শ্রমিক বলেন, “এই গরমে বেশিক্ষণ কাজ করা অসম্ভব। দিন আনা দিন খাওয়া জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।”
জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই তাপপ্রবাহ আরও অন্তত দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তারা জনগণকে পর্যাপ্ত পানি পান এবং দুপুরের তীব্র রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হিটস্ট্রোক বা ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জেলাবাসীর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পানীয় জল এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে। আবহাওয়ার এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলায় পটুয়াখালীর বাসিন্দারা সতর্কতার সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন।