১০ই এপ্রিল — সময়চক্রে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনে ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এক আশাবাদী মানুষ— জাকির হোসেন মহিন।
তিনি আজ শুধুমাত্র একটি নাম নন, বরং দক্ষিণাঞ্চলের একজন প্রতিভাসম্পন্ন আলোকবর্তিকা—যিনি সমাজসেবা, মানবাধিকার এবং সংস্কৃতির জগতে একের পর এক রেখে চলেছেন উজ্জ্বল পদচিহ্ন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সচেতন, অনুসন্ধিৎসু এবং ন্যায়বোধে দৃঢ়। পেশাগত জীবনের সূচনা হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে।
সততা, সাহস এবং আপসহীন মনোভাব তাঁকে অল্প সময়েই ভোলার সাংবাদিক মহলে অগ্রগণ্য করে তোলে।
তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ভোলা জেলা সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির পদে—যেখানে তাঁর নেতৃত্ব ছিল বলিষ্ঠ, স্পষ্টভাষী এবং ন্যায়নিষ্ঠ।
১৯৯৭ সালের ১লা জানুয়ারি তাঁর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)।
বর্তমানে প্রায় ১,৫০০ কর্মী নিয়ে এই সংস্থা কাজ করছে উপকূলীয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে।
এই কর্মীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভোলার স্থানীয় বাসিন্দা।
জিজেইউএস শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়—এটি একটি সমাজ বিনির্মাণের দর্পণ, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জনাব জাকির হোসেন মহিন স্বয়ং।
শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান বরিশাল বিভাগে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিটি উদ্যোগে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে এক একটি স্বপ্নের ঠিকানা।
তিনি বিভিন্ন সময়ে পেয়েছেন নানা ধরনের পুরস্কার ও সম্মাননা, যা তাঁর অবদানের সজীব স্বীকৃতি।
জাকির হোসেন মহিন শুধুই সংগঠক বা সমাজকর্মী নন—তিনি এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত।
তিনি প্রমাণ করেছেন, ভালো মানুষ হয়ে ওঠা সম্ভব—যদি থাকে দায়বদ্ধতা, নিষ্ঠা এবং মানবিক মূল্যবোধ।